, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


আমদানির পর পেঁয়াজের কেজি ৩৫, তবু ক্রেতা সংকট

  • আপলোড সময় : ০৭-০৬-২০২৩ ১০:১৯:০৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-০৬-২০২৩ ১০:১৯:০৭ পূর্বাহ্ন
আমদানির পর পেঁয়াজের কেজি ৩৫, তবু ক্রেতা সংকট
এবার আমদানির অনুমতি পাওয়ার দ্বিতীয় দিনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে এলো রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ। গতকাল মঙ্গলবার ৬ জুন ৪২ ট্রাকে ৮৮৯ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবে আমদানি বাড়ায় বন্দরে ক্রেতার সংকট দেখা দিয়েছে।

স্থলবন্দর ঘুরে দেখা গেছে, মঙ্গলবার নাসিক ও ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। পাইকারিতে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজের কেজি ৩২-৩৫ ও নাসিক ৩৮-৪০ টাকা চাইছেন আমদানিকারকরা। এরপরও ক্রেতা পাওয়া যায়নি। রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত এই দামে ক্রেতা না পাওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে পেঁয়াজ পাঠিয়েছেন তারা। হিলি স্থলবন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন মোকামে পেঁয়াজ সরবরাহ করেন আইয়ুব আলী।

তিনি বলেন, ‘সাধারণত বিভিন্ন মোকামের চাহিদা অনুযায়ী পেঁয়াজ সরবরাহ করি। বিনিময়ে ট্রাকপ্রতি কমিশন পাই। সোমবার থেকে আমদানি শুরু হলেও মোকামগুলো থেকে অল্প পরিমাণ অর্ডার মিলেছে। অনেক মোকাম মালিক অর্ডার দিচ্ছেন না। কারণ মোকাম মালিকরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। এখন এই দামে (৩২-৩৫) পেঁয়াজ কিনলে যদি আরও কমে তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় শঙ্কায় আছেন মোকাম মালিকরা। এজন্য অর্ডার কম, ক্রেতার সংকট। এরপরও ইন্দোর জাতের দুই ট্রাক পেঁয়াজ ৩২ টাকা দরে কিনেছি। এখনও কোনও মোকাম মালিক কেনার কথা নিশ্চিত করেননি।’

এদিকে বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক হারুন উর রশীদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৬০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন হিলির আমদানিকারকরা। সোমবার থেকে আমদানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ এসেছে। এর আগে একদিনে এত পরিমাণ পেঁয়াজ আসেনি। আমদানি আরও বাড়বে।’ 

আমদানির প্রভাবে দেশের বাজারে দাম কমেছে উল্লেখ করে হারুন উর রশীদ বলেন, ‘মঙ্গলবার ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ পাইকারিতে ৩২ ও নাসিক ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দাম আরও কমবে। সেইসঙ্গে খুচরা বাজারে ৩০-৩২ টাকার মধ্যে থাকবে। দাম কমতির দিকে থাকায় অনেকে পেঁয়াজের অর্ডার দিচ্ছেন না। এজন্য বন্দরে ক্রেতা সংকট। বাধ্য হয়ে কোনও কোনও আমদানিকারক নিজস্ব গুদামে পেঁয়াজ নিচ্ছেন, কেউ কেউ দেশের বিভিন্ন মোকামে চালান দরে বিক্রির জন্য পাঠিয়ে দিচ্ছেন। তবে দাম আর বাড়বে না।’
 
এদিকে বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘সোমবার তিন ট্রাকে ৬৩ মেট্রিক টন আমদানি হয়েছিল। মঙ্গলবার রেকর্ড পরিমাণ অর্থাৎ ৪২ ট্রাকে ৮৮৯ মেট্রিক টন আমদানি হয়েছে। এর আগে একদিনে এত পেঁয়াজ আসেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘পেঁয়াজ যেহেতু কাঁচামাল এবং গরমে পচে যায়, সেজন্য দ্রুত বন্দর থেকে খালাস করতে বলা হয়েছে। পেঁয়াজ আমদানি বাড়ায় রাজস্ব আহরণ যেমন বেড়েছে তেমনি বন্দরের শ্রমিকদের আয়ও বেড়েছে।’